অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ এবং পূর্ণিমার ভরা কোটাল— এই দুইয়ের জোড়া তান্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন উপকুলবর্তী এলাকা। এখনও জলমগ্ন গোসাবা দ্বীপ। আশ্রয়হীন হয়ে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। এবার গোসাবা ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা। শুক্রবার গদখালি হয়ে সোজা গোসাবার জটিরামপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় চলে যান তিনি। সেখানে দ্রুতগতিতে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, একটি স্কুলের ত্রাণ শিবিরের কয়েক হাজার দুর্গত পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এদিকে, আগামী ১২ ও ২৬ জুন আবারও কোটাল রয়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে জল বাড়বে। আশঙ্কা, আবারও হতে পারে জলোচ্ছ্বাস। আগাম সেই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে বঙ্কিম আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, আগামী কোটালে যেন নদীর জল ছাপিয়ে গ্রামে ঢুকতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি কোটালের আগেই প্রাথমিক ভাবে বাঁধ মেরামতির কাজ তড়িঘড়ি শেষ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে আয়লা কিংবা আম্ফানের দাপটে অনেক মানুষ এবং গবাদি পশুর প্রাণহানি ঘটেছিল। ইয়াস তান্ডব চালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের আগাম সতর্কতায় একটিও মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি। এরজন্য পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারীকদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’