এবার পরিবহণ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপের পথে বাংলা। লক্ষ্য ২০৩০। তার মধ্যেই রাজ্যের সবরকম গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে বৈদ্যুতিন করতে নির্দিষ্ট নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্যারিস চুক্তিতে (সিওপি বা কপ- ২১) স্বাক্ষর করেছিল ভারত। তাতেই বলা আছে, ২০৩০-এর মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ২০০৫ সালের নিরিখে ৩৩-৩৫% কমাতে হবে। সেই লক্ষ্যে পরিবহণ ক্ষেত্রে সর্বাধিক রদবদল প্রয়োজন। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সমস্ত পরিবহণ মাধ্যমকে বৈদ্যুতিন করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এবার দেশের মধ্যে মডেল রাজ্য হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে বাংলা।
প্রসঙ্গত, ১৯০২ সালে এশিয়ার মধ্যে প্রথম কলকাতায় বৈদ্যুতিন ট্রাম চলেছিল। কলকাতাতেই দেশের মধ্যে প্রথম গণপরিবহণে ইলেকট্রিক বাস চালানো হয়। এক্ষেত্রেও সেরকম নজির স্থাপন করতে এই নয়া ‘বৈদ্যুতিন গাড়ি নীতি ২০২১’ প্রণয়ন করার উদ্যোগ। এতে সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই গাড়িকে বৈদ্যুতিনে রূপান্তর করতে সরকার সাহায্যও করবে। একইভাবে আগামীদিনে রাস্তায় রাস্তায় যাতে এই ধরনের গাড়ি চার্জ করার ব্যবস্থা থাকে, তার পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হবে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা, আসানসোল, দার্জিলিং এবং হাওড়ায় প্রথমে এই পরিবর্তনের কাজ করা হবে। ২০২২ সাল থেকে ধাপে ধাপে গোটা রাজ্যে শুরু হবে এই কর্মসূচী।