একুশের নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডল। কিন্তু এখনও তাঁরা সাংসদ পদ ছাড়েননি। এবার সে নিয়েই আসরে নামল জোড়াফুল শিবির। লোকসভার স্পিকারকে ফোন করে লোকসভার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারিতেই সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতেও আবেদন করেছে তৃণমূল। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি। তাই অবিলম্বে দু’জনের সাংসদ পদ খারিজে পদক্ষেপ করতে ওম বিড়লাকে ফোনে আর্জি জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ফাইল দেখে পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকারও।
লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে শিশির ও সুনীলের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়েছে বলে এদিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে সাংসদ হয়ে অন্য দল করছেন সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী। অবিলম্বে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। এ নিয়ে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেনআমরা মনে করি, ওঁদের লোকসভার সাংসদ হিসেবে থাকার বৈধতা নেই। কারণ, তাঁরা দলত্যাগ করেছেন। জনগণকে ওঁরা পরিষেবা দিচ্ছেন না। কাঁথিতে সুস্থ-সক্ষম সাংসদ দরকার’। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতির অফিসকে ব্যবহার করে ফের বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাষ্ট্রপতির অফিসকে ব্যবহার করে স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে।’