আবার দিলীপ ঘোষ-সহ দলের চার বড় মাথা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন তথাগত রায়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনি এই চতুষ্টয়ের নাম নিলেন। এবারে তথাগতর বক্তব্য জনৈক ব্যক্তির থেকে তিনি শুনেছেন, বহু বিজেপি কর্মী বিপদের মধ্যে অথচ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন বা দিলীপ ঘোষরা কার্যত বেপাত্তা।
তথাগত রায় বুধবার ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘এক ঘনিষ্ঠজন এসে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন কয়েক হাজার বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ঘরছড়া করেছে। এখন ঘরে ফিরতে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হবে। আমার রীতিমতো অসহায় লাগছে’। এরপরেই তথাগতের তোপ, ‘রাজ্য বিজেপির নেতা কে-এস-এ (কৈলাস-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ মেনন) হাওয়া হয়ে গিয়েছেন। আর ফোন ধরছেন না ডি (দিলীপ ঘোষ)’।
কে-এস-এ-ডি অদ্যক্ষরে তিনি কাদের বোঝাতে চাইছেন বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তথাগত এই কোড অতীতেও ব্যবহার করেছেন। বরং প্রশ্ন উঠছে এভাবে প্রকাশ্যে বারংবার কৈলাস বিজয়বর্গীয়, প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন এবং দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ তথাগত কি বোঝাতে চাইছেন যে গোটা বিজেপি দলটাই নেতৃত্ব হীনতায় ভুগছে!
গত ৬ মে তথাগত প্রথমবার এই নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, দিলীপ-কৈলাসরা প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছেন। সেবারও তিনি ওই চার জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তথাগত লেখেন, কৈলাস, দিলীপ প্রকাশ অরবিন্দ এই চারমাথা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছে। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাত তারা হোটেলে বসে তারা তৃণমূলের আবর্জনা দের টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন এখন দলীয় কর্মীদের থেকে বাঁচতে তারা সেখানেই বসে আছেন ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে।
তথাগত টুইটটি যেন আগের এই আখ্যানেরই দ্বিতীয় অধ্যায়। অর্থাৎ তিনি অতীতের যা বলেছিলেন তা যে কতটা নির্ভুল তাই প্রমাণ করতে চাইছেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। অতীতে তাঁকে দিল্লীতে ডেকেও পাঠিয়েছিল দল। এখন সময় যত এগোচ্ছে রাজ্য বিজেপির ভেতরে ফাটল যেভাবে স্পষ্ট হচ্ছে তারই সৌজন্যে, দল কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখতেই তাকিয়ে থাকবেন রাজনীতিপ্রেমীরা।