এবার রাজ্যপালকে নিয়েই অসন্তোষের আনাগোনা বিজেপিতে। নানান অভিযোগ দানা বাঁধতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরে বলেই শোনা যাচ্ছে। বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসা একটি সরকারকে অহেতুক বিরক্ত করছেন তিনি। জানা যাচ্ছে গেরুয়াশিবিরের এই অংশের মতে, এতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে দলেরই। জনগণের কাছে হেয় হচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
উল্লেখ্য, জগদীপ রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজভবন চরম সংঘাত। বিজেপির একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে যার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই একের পর এক টুইট করে রাজ্যকে কার্যত ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরেই রাজ্যপাল নানা অছিলায় রাজ্য সরকারকে প্রতিদিন নিশানা করতে থাকেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যপালকেই কার্যত হাতিয়ার করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার জেরেই রাজ্যপাল একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে থাকেন রাজ্যপাল।
তবে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা। ধরাশায়ী হয় বিজেপি। ২৯২টির মধ্যে মাত্র ৭৭টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় গেরুয়াশিবিরকে। তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, মমতার শপথ গ্রহণের পরের দিন থেকেই ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল। শুরু হয় রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বারবার বিতর্কিত টুইট। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত কথাবার্তা ফাঁস করে দেওয়া।