সম্প্রতি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে সংস্কারের কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাংলার দুই শ্রমিকের। তাঁদের নাম এবাদুল মোমিন (৩০) ও আমিনুল মোমিন (৪০)৷ তাঁরা দুজনেই মালদার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছ’জন ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, গতকাল ভোরে মন্দির সংলগ্ন একটি বাড়ি ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ খবর গ্রামের বাড়িতে আসতেই কাল দুপুর থেকে দফায় দফায় মৃত ও আহতদের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ও আহতদের বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ২ মৃতের পরিবারের সঙ্গে এদিন দুপুরেই সাক্ষাৎ করেন ফিরহাদ। এরপর তিনি ক্ষতিপূরণের টাকাও তাঁদের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, ফিরহাদ এদিন মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন। গতকাল ঘটনার পর দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছোতেই শোরগোল পড়ে যায়৷ প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়৷ মঙ্গলবার বিকেলে নিহত ও আহতদের বাড়ি গিয়েছিলেন কালিয়াচক এক নম্বরের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দার৷ তিনি জানিয়েছেন, “নিহত ও আহতদের সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সরকারি সহায়তা পায়, নবান্নের তরফে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ দুটি ফিরিয়ে গ্রামেআনা হবে। সমস্ত রিপোর্ট জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে৷”
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ওই গ্রামে রয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামিজুদ্দিন আহমেদ৷ দলীয় স্তরেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি, গতকাল সন্ধ্যায় মালদার ওই দুই মৃত শ্রমিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর৷ গতকাল তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ভেঙে মালদার দুই শ্রমিক মারা গিয়েছেন৷ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ বেনারসে তাঁদের চিকিৎসা চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবারই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিহত ও আহতদের বাড়িতে আসছেন৷ নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ সরকারি সহায়তা করা হবে। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”