একুশের যুদ্ধে বিপুল ভোটে জয়ের পরে এবার তৃণমূলে চালু হতে পারে ‘এক নেতা এক পদ’ নিয়ম। শুধু তাই নয়। দলীয় সূত্রে খবর, বড়সড় রদবদল হতে চলেছে সংগঠনেও। আগামী শনিবার তৃণমূল ভবনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।যেখানে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। থাকবেন যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। থাকার কথা তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের।
দলীয় এক সূত্রের দাবি, ওই বৈঠক থেকে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যে সব জেলা সভাপতি এবার মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখদের জায়গা দেওয়া হতে পারে। বৈঠকে জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি তলব করা হয়েছে সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের।
শোনা যাচ্ছে, ওই রদবদলেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর সম্ভাবনা। দল থেকে অধুনা বিচ্ছিন্ন শিশিরকে জেলা সভাপতির পদ থেকে আগেই সরানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে চেয়ারম্যানের পদে এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে দলের একাংশেই আপত্তি।উঠেছে। আবার, মন্ত্রী অরূপ রায় সমবায় দফতরের সঙ্গে হাওড়া পুর নিগমের পুর প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে হাওড়া জেলা সংগঠনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হতে পারে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকেও তাঁর দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা। বর্ধমান পূর্বের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ মন্ত্রী হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি পুলক রায়ও মন্ত্রী হয়েছেন। ওই জেলাগুলিতে তাঁদের জায়গায় নুতন মুখ এনে তাঁদের আবার ভবিষ্যতের প্রশানিক দায়িত্বের জন্য তৈরি করা হবে।
সভাপতিদের পাশাপাশিই জেলা সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিদেরও দায়িত্ব থেকে সরানোর সম্ভাবনা। আবার এমন কিছু সভাপতি রয়েছেন, যাঁদের জেলায় বিধানসভা ভোটে এবার একেবারেই ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। যেমন দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হয়েছে। তাই ওই জেলাগুলির সভাপতিদের সরিয়ে নতুন হাতে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের দাবি। সেই সূত্রেই দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে, সংগঠনে নতুন ‘এক পদ এক নেতা’ নিয়ম জারি করতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।