মুম্বইয়ে নিভৃতবাস পর্ব কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে দলের। দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও রীতিমতো উদ্বেগজনক, তাই সেভাবে ছাড়া না পেলেও নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে ক্রিকেটারেরা হোটেলে লবির মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে পারলেন। টিম রুমে গিয়ে সময় কাটালেন। এত দিন কঠোর নিভৃতবাস পর্বে কেউ কারও মুখ দেখতে পারছিলেন না, একে অন্যের ঘরে যাওয়াও বারণ ছিল। এ বার সেই মেলামেশা তাঁরা করতে পারবেন। জিমে গিয়ে এক সঙ্গে ট্রেনিংও করলেন অনেকে। বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরাদের শারীরিক চর্চার সেই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে ভারতীয় বোর্ড লিখেছে, প্রস্তুতি তুঙ্গে।
এরমধ্যেই এলো সুখবর! ভারতীয় দলের আর্জি মেনে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পরিবার নিয়ে আসার অনুমতি দিল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। চলতি সপ্তাহে প্রায় চার মাসের দীর্ঘ সফরে ইংল্যান্ড যাচ্ছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানেরা। ফলত বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল দলের এবং ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে যাতে পরিবারকে সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সবুজ সঙ্কেত এসে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আগামীকালই ইংল্যান্ডের বিমানে উঠে পড়ছে ভারতীয় দল।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডে গিয়ে প্রথমে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবেন কোহলিরা। তার পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। এই দীর্ঘ সফরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সকলে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় অন্যত্র। ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করায় প্রায় প্রত্যেক দেশেই এখান থেকে যাত্রী যাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সেই অবস্থায় পরিবার-সহ ভারতীয় দলের আসার অনুমতি দেওয়া সহজ হচ্ছিল না। পরিবার তাঁদের সঙ্গে মুম্বইয়ে নিভৃতবাস পর্ব শুরু করলেও ক্রিকেটারদের অনেকে নিশ্চিত ছিলেন না, শেষ পর্যন্ত অনুমতি আসবে কি না। যদিও দীর্ঘ সফরে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে থাকার মানসিক চাপের কথা ভেবে তাদের দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে ইংল্যান্ড বোর্ড বিশেষ অনুমতি দিতে পেরেছে।
মূলত দু’টি কারণে পরিবার সঙ্গে যাওয়ার আর্জি পাশ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক) এটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ভারত খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। তার পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। বহুদেশীয় টুর্নামেন্ট হলে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। এমনও শোনা গেল যে, উইম্বলডনের আগে লন্ডনে যে কুইন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হয়, সেখানে টেনিস তারকাদেরও পরিবার নিয়ে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। দুই) দীর্ঘ সফরে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে থাকার কারণে দলীয় ক্রিকেটারদের ওপর যে মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে, সেটাও ভেবে দেখা হয়েছে।