বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য গতিবিধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার ফলস্বরূপ দিন কয়েক আগেই টুইটারে দেখা গিয়েছিল নতুন ট্রেন্ডিং — হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতাদি! অর্থাৎ ভারত মমতাদিকেই চায়। আর এবার সরাসরি পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে প্রধান মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে তৃণমূল নেত্রীকে চেয়ে জোরদার প্রচার শুরু হল নেটমাধ্যমে। সোমবার থেকেই টুইটারে ট্রেন্ড হয়েছে, ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগ প্রচার।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-র মোকাবিলায় তৃণমূলনেত্রীকে তুলে ধরার পক্ষে নেটমাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিজেপি-বিরোধী নেটাগরিকদের বড় অংশ ধীরে ধীরে সেই প্রচারে শামিল হচ্ছেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাতের আবহে নেটমাধ্যমে আরও জোরালো হয়েছে সেই প্রচার। যার ফলস্বরূপ রবিবার থেকেই মমতার ছবি দিয়ে ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগে প্রচার শুরু হয়। সোমবার যেমন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারিও ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করেন।
মোদী-শাহের মডেল ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে মনোজ লেখেন, ‘দিদিই আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। যেভাবে উনি উন্নয়নের মডেল বাস্তবায়িত করে বাংলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ মনোজের পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, দলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ অনেকেই যোগ দিয়েছেন এই প্রচারে। উঠে আসছে মমতার পক্ষে নানা মন্তব্যও। কেউ লিখেছেন, ‘২০২৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতাই যোগ্য’ বা ‘দিদিকে এবার প্রধানমন্ত্রী চাই’। তো কেউ লিখেছেন, ‘কন্যাশ্রী-স্বাস্থ্যসাথী গোটা দেশ চায়’। আবার কারও কারও মন্তব্য, ‘ভারত বাংলার মেয়েকে চায়।’