মারণ ভাইরাস করোনার হানা এবং তা রুখতে করা লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছে। সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)-র প্রধান নির্বাহী মহেশ ব্যাস যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন তাতে স্পষ্ট, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ভারতে এক কোটিরও বেশি মানুষ বেকার হয়েছেন। সেইসঙ্গে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখনও প্রায় ৯৭ শতাংশ পরিবারের আয় হ্রাস পেয়েছে।
মহেশ জানিয়েছেন, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের আবার চাকরি পাওয়া খুব কঠিন হচ্ছে। ২০২০ সালের মে মাসে দেশে লকডাউনের সময় বেকারত্বের হার ২৩.৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। কিন্তু এই বছর যখন করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ এসেছে, ধীরে ধীরে রাজ্যগুলি বিধিনিষেধ আরোপ আরোপের পথে হেঁটেছে।
তাঁর মতে, বেকারত্বের হার যদি ২-৩ শতাংশ পর্যন্ত থেকে যায় তবে তা ভারতীয় অর্থনীতিতে স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে সিএমআইই-র তথ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেকারত্ব ১ কোটিরও বেশি। মে মাসে শহরে বেকারত্বের হার ১৪.৭৩ শতাংশ, গ্রাম বেকারত্বের হার ১০.৬৩ শতাংশ এবং দেশব্যাপী বেকারত্বের হার ১১.৯৯ শতাংশ।
এদিকে করোনার ধাক্কায় গত অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপির সংকোচন হল ৭.৩ শতাংশ। চল্লিশ বছরে প্রথমবার এত বড় সংকোচনের সাক্ষী থাকল দেশ। এই পরিস্থিতিতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইটে সর্বনিম্ন জিডিপি এবং সর্বোচ্চ বেকারত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন ওয়ানাড়ের সাংসদ। ২০১৪ থেকে দেশে কীভাবে কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে তার একটি গ্রাফও প্রকাশ করেন রাহুল।