বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য গতিবিধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যেভাবে মমতার ক্যারিশমার কাছে পরাস্ত হয়েছে ‘মোদী ম্যাজিক’ থেকে ‘শাহী রণনীতি’, তা দেখে এবার তৃণমূল নেত্রীকে মধ্যমণি করেই আরও একবার জোটের সলতে পাকাতে শুরু করে দিয়েছে দেশের বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গ্রহণযোগ্যতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যু। যেমন, মুখ্যসচিবকে দিল্লীতে তলব নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে যে দড়ি টানাটানি খেলা চলছিল, তাতে বাংলার বাঘিনী দিল্লীর কাগুজে বাঘেদের থেকে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছেন। এমনটাই মনে করছেন শিব সেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। শুধু শিবসেনাই নয়, এই গোটা ইস্যুতে কংগ্রেস থেকে শুরু করে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছে। আলাপন ইস্যুতে দ্বিধাহীন ভাষায় তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও।
বাংলার ভোটে বিপর্যয়ের পর রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিবের বদলির নির্দেশকে দিল্লীর তরফে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত বলেই মনে করছে দেশের বিরোধী শিবির। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলছেন, ‘এটি রাজ্য সরকারের সঙ্গে লড়াই করার সময় নয়। বরং, এসময় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে করোনা মোকাবিলার করা উচিত কেন্দ্রের।’ আবার সমাজবাদী পার্টি ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের পাশে। আলাপন ইস্যুতেও ব্যতিক্রম হয়নি। এদিকে, কংগ্রেসের তরফে আগেই বিবৃতি দিয়ে এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও ফের নতুন করে অধীর চৌধুরীকে শোনা গিয়েছে আমলা আলাপনের প্রশংসা করতে। আবার, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের একটি টুইটকে রিটুইট করে লিখেছেন, ‘সুখেন্দুবাবুর প্রতি সহমর্মিতা রইল।’