এই কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁকে যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারছে না রাজ্য সরকার, আজই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়। চিঠিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের একাধিক ফাঁকফোকরের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি কেন এই মুহূর্তে মুখ্যসচিবের ‘রিলিজ অর্ডার’ দিতে পারছেন না, তাও বিস্তারিত জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও নির্ধারিত সময় দিল্লীতে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করল কেন্দ্র। এদিন, নর্থ ব্লকে অনুপস্থিত থাকা আলাপনকে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ আসা সত্ত্বেও তিনি কেন হাজিরা দিলেন না সেই কারণ জানতে চেয়ে এই শোকজ করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। শুধু তাই নয়, তাঁকে অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের তরফে এই চিঠির পরই ফের একবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘গত ৭৪ বছরে ভারতে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’ এই চিঠি বাংলা কোভিড এবং ঘূর্ণিঝড় ক্ষতে নুন ছেটানোর মতো বলেও উল্লেখ করেন মমতা। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে এবং বাংলায় হারের প্রতিশোধ মেটাতেই কি কেন্দ্র এই ধরনের পদক্ষেপ করছে, প্রশ্ন তুলে দেন রাগে অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সাফ কথায়, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। কী কারণে মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রে যোগ দিতে বলা হচ্ছে, চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিশোধমূলক আচরণ। এত নির্দয়, এত নির্মম প্রধানমন্ত্রী আমি আগে কখনও দেখিনি।’