দিল্লী থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচমকা বদলির নির্দেশ আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। জনমানসে এই ঘটনার যে ভালো প্রভাব পড়বে না, সেটা বুঝে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য বিজেপির আদি নেতারা। কারণ, তাঁরা বিলক্ষণ বুঝেছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাতারাতি বদলির পক্ষে সওয়াল করলে বাংলার মানুষের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব আরও বাড়বে। প্রকাশ্যে তাই এই নিয়ে কেউ মুখ খুলতে না-চাইলেও রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘ভুল সিদ্ধান্তের রেকর্ড গড়ছি আমরা। এটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আলাপনের আচমকা বদলি বাংলার মানুষ ভালো ভাবে নেবে না।’
ভোটপর্ব চুকে যাওয়ার পরেও মোদী-শাহরা দিল্লীতে বসে রণডঙ্কা বাজিয়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঠিক এখানেই আপত্তি রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশের। তাই, আলাপনের বদলি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথে বিশেষ সুর চড়াতে চাইছে না বঙ্গ-বিজেপি। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘আমরা এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না ঠিক করেছি। আর দিল্লীর নেতারা তো আছেনই বলার জন্য।’
বাংলার কোনও শীর্ষ বিজেপি নেতাকে শুক্রবার দিল্লীর নেতাদের তালে তাল মিলিয়ে মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে টুইট করতে দেখা যায়নি। শনিবারও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি রাজ্য বিজেপির কেউ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাপনকে দিল্লী তলবের পক্ষে অযথা সুর না-চড়ানোর পক্ষেই শুক্রবার দলের অন্দরে সওয়াল করেছেন রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ নেতা। এক বিজেপি নেতার আক্ষেপ, ‘কলাইকুণ্ডার বৈঠক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই মুখ্যসচিবের বদলির নির্দেশকে সাধারণ মানুষও দিল্লির প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখবে। অকারণে দিল্লির নেতারা এই রাজ্যে বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন।’