শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাংলার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তার অবসর গ্রহণের মাত্র ৩ দিন আগে রাজ্য থেকে সরিয়ে দিল্লীতে পোস্টিং করার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রের মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পিছনে বাংলায় মমতার প্রশাসন দুর্বল করার জন্য বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ এর কথা উঠে আসছে। পাশাপাশি উঠে আসছে সম্পূর্ণ অন্য একটি তত্ত্বও। গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বিগত প্রায় দেড় দশক ধরে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে ছিল অধিকারী বংশের অধিকার। কখনো শিশির অধিকারী আবার কখনো বা শুভেন্দু অধিকারীর অঙ্গুলিহেলনে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নামে।
এবছরের ঘূর্ণিঝড়ে দীঘা শঙ্করপুর এবং মন্দারমণির বিস্তীর্ণ এলাকা বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে রাজ্যের এযাবৎকালের রেকর্ড ভেঙে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হাতে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর দায়িত্ব তুলে না দিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের হাতে তুলে দেন এই গুরুদায়িত্ব। একইসঙ্গে নির্দেশ দেন গত কয়েক বছরে যে বিপুল অঙ্কের টাকা এই এলাকার উন্নয়নে এবং বাঁধ নির্মাণে খরচ করা হয়েছিল তার যথাযোগ্য অডিট করতে হবে।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে এর পরেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়, শুভেন্দু অধিকারী এবং তার পরিবারের দুর্নীতি নাকি এর ফলে ধরা পড়বে। বাংলা রাজনৈতিক মহলের মতে, দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অধিকারী পরিবারের বিপুল দুর্নীতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তদন্তে ধরা না পড়ে তার জন্যই তড়িঘড়ি তাকে দিল্লীতে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আর তাতেই বাড়ছে জল্পনা।