একা করোনায় রক্ষা নেই, দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশ জুড়ে মারণ ভাইরাসের দাপাদাপির মধ্যেই উদ্ভূত এই নয়া অসুখকে ইতিমধ্যেই মহামারি ঘোষণা বাংলা, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে আগেই দিল্লী হাইকোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল, বিশ্বের যেখান থেকে পারুক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার ওষুধ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করুক সরকার। এবার ওষুধের অভাব নিয়ে দু’টি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হতাশা প্রকাশ করল তারা। দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি যশমীত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, ‘নরকে বাস করছি আমরা। সকলেই এই নরকে বাস করছি। এমন এক পরিস্থিতি যেখানে সবাই সাহায্য করতে চান অথচ প্রত্যেকেই অসহায়।’
প্রসঙ্গত, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দিল্লী হাইকোর্টে অভিযোগ জানানো হয়েছিল দুই রোগীর পক্ষ থেকে। সেই মামলার শুনানির সময়ই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকার পক্ষের আইনজীবীর কাছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ আমদানির কী পরিস্থিতি তা জানতে চান দিল্লী হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতম শর্মা জানান, ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, জার্মানি, আর্জেন্টিনার, বেলজিয়াম এবং চিন থেকে ২ লক্ষ ৩০ হাজার লিপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ মে এই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কবে এই অর্ডার ডেলিভারি হবে? তা সাধারণ মানুষের মধ্যে কীভাবে বিতরণ করা হবে? ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে এই পরিমাণ ওষুধ কী পর্যাপ্ত হবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত তথ্য সমেত আগামী সোমবারের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।