শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠক শেষে দীঘার সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটের পর কী পরিস্থিতি সেখানকার? মেরামতিতে খরচ কেমন? আলোচনা করলেন তা নিয়েও। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, ভ্রমণমুখী বাঙালির ছোট ছুটির গন্তব্য মানেই দীঘা। প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তেও অনেকে হাজির হন সেখানে। কিন্তু ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় যশ বা কার্যত তছনছ করে দিয়েছে সেই পর্যটন ক্ষেত্রকে। সূর্য ডুবতেই যে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমাতেন হাজার হাজার পর্যটক আজ সেখানে বড় বড় গর্ত। এলোমেলো হয়ে গিয়েছে গোটা সৈকত। এখনও কোথাও পড়ে রয়েছে ঝড়ে উড়ে আসা টিন, ছড়িয়ে রয়েছে পাথর। শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই সমুদ্র সৈকতের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন বৈঠকের পর বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ পায়ে হেঁটে দিঘার সৈকতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে ছিলেন তিনি। পায়ে হেঁটে সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই বুধবারের তাণ্ডবের বর্ননা দেন। প্রত্যেকের কাছে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের পছন্দের পর্যটনক্ষেত্র দিঘার সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সৈকত পরিদর্শনের পর আজ আর কোনও কর্মসূচি নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আগামীকাল পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।