অনেক টালবাহানার পর অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দু’লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার আবেদন মেনে ওই চার অভিযুক্ত সমস্ত কাজকর্ম করতে পারলেও, এমনকী গৃহবন্দী দশা কেটে গেলেও এখন থেকে তাঁরা ওই মামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে বা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবেন না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। তবে নাকানিচোবানি খেলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অন্যদিকে ফিরহাদদের স্বস্তি ছিনিয়ে আনলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
‘এই চার জন এখন কোথাও পালিয়ে যাবেন না’, নারদ মামলার শুনানিতে এমনটাই বলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জে বিন্দল। তিনি বলেন, ‘এরা প্রভাবশালী। কিন্তু গৃহবন্দী অবস্থা উঠে গেলেও এরা পালাতে পারবেন না।’ তুষার মেহতা দাবি করেন, এরা ছাড়া পেল প্রভাব খাটাতে পারেন। মামলা বন্ধও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তাঁকে আশ্বস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, মামলা চলবে।
বিচারপতি অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, চার নেতা-মন্ত্রীকে এত দিন কেন সিবিআই গ্রেফতার করেনি?’ ‘এই চার জন আগেও প্রভাবশালী ছিলেন। এখন কেন গ্রেফতার করা হল। সাধারণত তদন্তের স্বার্থেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে। আগেও তো এঁরা প্রভাবশালীই ছিলেন। তবে এখন চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হল কেন?’
পুনর্বিবেচনার যে আবেদন জানানো হয়েছিল সেটার প্রথমে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মূল মামলার সঙ্গে পয়েন্টগুলির মিল থাকায় একসঙ্গে শোনা হয় সেই আবেদন। তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, এত দিন ধরে গৃহবন্দি করে রাখা যায় না।’ তুষার মেহতা সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে বিচারপতিরা জামিনের পক্ষেই রায় দেন’।