ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ‘ইয়াসে’র প্রভাবে প্রায় তছনছ দীঘা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থাও প্রায় একইরকম। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে শুক্রবার কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এই বৈঠক নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। আদৌ কলাইকুন্ডার বৈঠকে মমতা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে জানানো হয়েছে, কলাইকুন্ডার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও ওই বৈঠকে থাকার কথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। তিনি নিজেই টুইটে সেকথা জানিয়েছেন।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, বৈঠকে কারা থাকবেন সেই তালিকা দেখেই ‘বিরক্ত’ রাজ্য প্রশাসন। দেবশ্রী চৌধুরী এবং শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। রাজ্যের যুক্তি, শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিরোধী দলনেতা হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পদে বসেননি। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের জয়ী বিধায়ক ছাড়া আর কিছুই নন তিনি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কেন থাকবেন তিনি? যদিও রাজ্যপাল বৈঠকে থাকলে আপত্তি নেই রাজ্যের। সূত্রের খবর, মোদীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে রাজি মুখ্যমন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী কিংবা দেবশ্রী চৌধুরী থাকলে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন না বলেই স্থির করেছেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, ‘যশ’ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বৈঠককে অকারণে ‘রাজনৈতিক’ করে তোলা হচ্ছে। আপাতত কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই বৈঠকের দিকেই এখন নজর সকলের।