গতকালই তড়িঘড়ি বোলপুর থেকে কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকায় চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছিলেন যে, তাঁর কোভিড পজিটিভ। তবে স্বস্তির খবর, করোনা হয়নি অনুব্রত মণ্ডলের। পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও অন্যান্য পরীক্ষা করার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কমেছে শ্বাসকষ্টও। তবে চেস্ট এক্স-রেতে কিছু সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসকরা। আপাতত কলকাতার ফ্ল্যাটেই আছেন তিনি।
গতকাল হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁকে বোলপুর থেকে কলকাতায় আনা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। তাঁর শরীরে অক্সিজেন কমে গেছিল। হালকা জ্বর, সঙ্গে সর্দি, কাশি ছিল। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থতার কারণে গৃহবন্দী ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। বুধবার রাতেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তা আরও কিছুটা বাড়ায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডলের নানাবিধ শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সেই জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তাঁকে দু-বেলা বেশ কিছু ওষুধও খেতে হয়। বছর সাতেক আগেও তিনি একবার ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের একটি সভায় গিয়ে খুব বকাবকি করেছিলেন কেষ্টকে। বলেছিলেন, “কেষ্টর এত অসুস্থতার কারণ ওর ওজন বেড়ে যাওয়া। সারাদিন এক জায়গায় বসে থাকবে, হাঁটাহাঁটি করবে না, ওজন বাড়বে না তো কী হবে।” দিদির বকা খেতেই তারপর নিজের বাড়িতে ট্রেডমিল কিনে রোজ সকালে সেখানেই কয়েক কিলোমিটার হেঁটে নিতেন অনুব্রত।