নারদ মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করছে না সিবিআই? এবার আদালত কক্ষেও সওয়াল জবাবে উঠে এল ওই দুই বিজেপি বিধায়কের নাম। এদিন, হেভিওয়েটদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন এ মামলায় শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে পার্টি করা হল না?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের মতো শুনানি শেষ হয়েছে। এখনও বহাল রইল চার হেভিওয়েটের গৃহবন্দিত্ব। ফের শুক্রবার বেলা ১২টায় ফের হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চে নারদের শুনানি। তার আগে কে কোন পয়েন্টে প্রশ্ন করবে সেই নিয়ে সব পক্ষকে এক পাতার নোট পাঠাতে নির্দেশ আদালতের। শুধু তাই নয়। নারদ মামলায় রাজ্যকে পার্টি করার অনুমতিও দিল হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে শুরু নারদ মামলার শুনানি। দুপুর দুটো নাগাদ শুরু হয় শুনানি। শুরুতেই চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতা করে গুরুত্বপূর্ণ সওয়াল সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘আদালত এখনই পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে একই ভাবে জনগণকে ব্যবহার করে বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করা হবে। ভবিষ্যতে কোনও বড় দুষ্কৃতি ধরা পড়লেও একই ঘটনা ঘটবে।’
শুনানির শুরুতেই রাজ্যকে পার্টি করা হয়নি বলে আদালতে জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার কে মামলার পার্টি বা যুক্ত করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাই কোর্টের যে আবেদন করেছে তাতে রাজ্যকে পার্টি করতে সমস্যা কোথায়!’ এর পরিপ্রেক্ষিতে সলিসিটর জেনারেল মত জানতে চায় বিচারপতি। অ্যাডভোকেট তুষার মেহতা জানান, ‘রাজ্যকে পার্টি করতে কোনও অসুবিধা নেই।’ এরপরই রাজ্যকে মামলায় পার্টি করার অনুমতি দেয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।