বুধবার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো সকালেই উড়িষ্যার বালাসোরে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। তারপর ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ করে সময় যত এগিয়েছে, দেখা গিয়েছে ঝড়ের ধাক্কা অধিকাংশটাই গিয়ে লেগেছে উড়িষ্যায়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের ফাঁড়া কাটলেও ভরা কোটালে সমুদ্র উপকূল ও নদী সংলগ্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার একাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখল সিইএসসি। তারা জানাল, সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশ বিদ্যুৎহীন। এপ্রসঙ্গে সিইএসসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। সেই সব এলাকায় জমা জলের স্তর বেড়ে গিয়েছিল। সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কানেকশন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। বিকেলের পর ক্ষয়ক্ষতির আঁচ পাওয়া যাবে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও সিইএসসি-কে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন,”বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে, যাতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কেউ মারা না যান। সতর্ক না থাকার জন্য প্রাণ হারান অনেক মানুষ। আমার বাড়ির বিদ্যুৎও অফ করে রেখেছি। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও সিইএসসি-কে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছি। প্লাবনে জল ও বিদ্যুৎ এককার হয়ে যায়। আজ ও কালকের দিনটা ভরা কোটাল আছে।”