দেশজুড়ে কোভিডপরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হাতছানি। করোনাকালে ভয়াবহ এই রোগ এবার বাস্তবেই মহামারীর আকার নিচ্ছে। দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু কোভিডজয়ী। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাগ ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৭ জন। মাত্র কয়েকদিনে সংক্রমণের এই গতি ভাবিয়ে তুলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কৃষ্ণ ছত্রাক সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে। সেখানে এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ২ হাজার ৮৫৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭০ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬৮ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৭৫২ জন এই মারণ ছত্রাকের কবলে পড়ে চিকিৎসারত। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বেশি, সেই সেই রাজ্যে বেশি করে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই যুক্তি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে গুজরাটে। সেরাজ্যে গিয়েছে ওষুধের ৭ হাজার ২১০টি ডোজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তাঁর পেয়েছে ৬ হাজার ৯৮০টি ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ AMPHOTERICIN B-এর উতপাদন বাড়ানো হচ্ছে। এবং আগামী দিনে রাজ্যগুলি প্রয়োজন মতো ওষুধ পাবে।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করার নির্দেশ গিয়েছে কেন্দ্রের তরফে। রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের পথ ধরে বাংলাতেও এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও, কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সক্রিয় কোনও রোগী নেই। তাই বাংলাকে আলাদা করে এই রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী AMPHOTERICIN B-এর ডোজও দেওয়া হচ্ছে না।