আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো বুধবার সকালেই উড়িষ্যার বালাসোরে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। তারপর ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ করে সময় যত এগিয়েছে, দেখা গিয়েছে ঝড়ের ধাক্কা অধিকাংশটাই গিয়ে লেগেছে উড়িষ্যায়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের ফাঁড়া কাটলেও ভরা কোটালে সমুদ্র উপকূল ও নদী সংলগ্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ৫ ফুটের উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ত্রাণ শিবির থেকে এখনই কেউ বাড়ি ফিরে যাবেন না।
এদিন, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভরা কোটাল চলছে। তাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। অনেক এলাকা জলে প্লাবিত। আজ রাত ৮.৪৫ মিনিটে আসতে পারে ভরা কোটালের প্লাবন। তাতে ৫ ফুটের উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। গঙ্গার কাছাকাছি কালীঘাট, রাসবিহারী, ভবানীপুর থেকে দীঘা, মন্দারমণি, সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা,মিনাখাঁ প্লাবিত হতে পারে। সবাইকে বলব আগামিকালও বান আসবে। কেউ ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না। একটা দিন কষ্ট করুন।’
জীবনহানির আশঙ্কা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু এড়াতে আগেভাগেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কেউ যাতে মারা না যান। সতর্ক না থাকার জন্য প্রাণ হারান অনেক মানুষ। আমার বাড়ির বিদ্যুৎও অফ করে রেখেছি। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও সিইএসসি-কে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছি। প্লাবনে জল ও বিদ্যুৎ এককার হয়ে যায়। আজ ও কালকের দিনটা ভরা কোটাল আছে।’