একা ঘূর্ণিঝড়ে রক্ষে নেই, দোসর ভরা কোটাল আর চন্দ্রগ্রহণ! হ্যাঁ, শুধু যশ নয়, এই ত্র্যহস্পর্শেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে সমুদ্র। যার জেরে এবার জলে ভাসল কপিলমুনির আশ্রম।
জানা গিয়েছে, কপিলমুনির মন্দিরের প্রায় অর্ধেক অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। জল ঢুকেছে মন্দিরের ভিতরেও। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস থাকায় ভেসেছে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। সমুদ্রের নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষ জমি। ভেসে গিয়েছে বহু মানুষের বসত বাড়ি। আগেই ওই এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে কোনও মতেই সংক্রমণ না ছড়াতে পারে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভেঙেছে একাধিক বাঁধ। সন্দেশখালি, গোসাবা, কুলতলিতে বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মহেশতলার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের উলুডাঙ্গায় হুগলি নদীর বাঁধে ভাঙন ধরেছে। ফলে জল ঢুকতে শুরু করেছে ইটখোলায় । ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টা এলাকায় প্রবল গতিতে গ্রামে জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। লো লাইন এলাকায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। আবার গোসাবার গ্রামেও বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকে গিয়েছে।