আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই বালেশ্বর ও পারাদ্বীপের মাঝামাঝি আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ। গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। তবে ঝড়ের ল্যান্ডফল বাংলায় না হওয়ায় এ রাজ্যে আমফানের মতো প্রভাব ফেলবে না যশ। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দুই মেদিনীপুরের হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটারের ওপর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোখার পথ নেই। তবে মানুষের পাশে আছি। মায়ের মতো রাজ্যবাসীকে আগলে রাখব।’ আর তার ঠিক পরেই যেন মমতার সুরে সুর মিলিয়েই টুইট করলেন একদা তৃণমূলের সৈনিক অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের জলে দল ছেড়ে যাওয়ার সময়ও তৃণমূল নেত্রীর ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়তে চলেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছেন। অনেককে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আবার অনেককে বাড়িতে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। আজ একই গাইডলাইন দিলেন রাজীবও। সঙ্গে বললেন প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখার কথা! মঙ্গলবার ডোমজুড়ের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী টুইটারে লেখেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। আপনারা কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না। ঘরের ভেতর নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। প্রশাসনের বার্তা ও ঝড় সংক্রান্ত সতর্কবার্তার দিকে নজর রাখুন। করোনা নিয়েও সতর্ক থাকুন। সবসময় মাস্ক পরুন। ঘন ঘন সাবান জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। সবাই সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।’ রাজীবের এই প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখার কথা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সদ্য বিজেপিতে যোগ দিলেও কী করে বিপদে মানুষের পাশে থাকতে হয়, তা বাংলার জননেত্রীর কাছ থেকেই শিখেছেন তিনি। আর তাই রাজীব মমতার প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে বলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।