দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে প্রতিদিনই রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই পরিস্থিতিতে আগেই করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভিয়ার ওষুধ কালোবাজারি করার অভিযোগ উঠেছিল গুজরাতের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সি আর পাটিল এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের বিরুদ্ধে। আর তারপর পরই বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ফ্লু প্রতিরোধী ‘ফ্যাবিফ্লু’ ওষুধ মজুত করে রাখার অভিযোগ ওঠে। এবার দিল্লী হাইকোর্ট দিল্লীর ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরকে তদন্ত করে দেখতে বলল, প্রতিটি সামগ্রীর ‘সরবরাহ যখন কম ছিল’, তখন কীভাবে গম্ভীর প্রচুর পরিমাণে ফ্যাবিফ্লু ওষুধের স্ট্রিপ জোগাড় করেছিলেন! সোমবার দিল্লীর ড্রাগ কন্ট্রোলারকে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের ব্যাপারে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে হাইকোর্ট। দিল্লী পুলিশকেও এ ব্যাপারে জরুরি নথিপত্র ড্রাগ কন্ট্রোলারকে হস্তান্তর করতে বলেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল বিজেপি সাংসদ টুইট করে লেখেন, ‘পূর্ব দিল্লীতে বসবাসকারী যাঁদের ফ্যাবিফ্লু-র প্রয়োজন, তাঁরা আমার সাংসদ অফিস (২, জাগ্রীতি এনক্লেভ) থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে তা বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন। দয়া করে সঙ্গে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও নিজের আধার কার্ড আনবেন।’ এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের তরফে অভিযোগ আনা হয়, বিজেপি নেতারা ওষুধ মজুত রেখে বাজারে সঙ্কট তৈরি করছেন এবং নিজেরা কালোবাজারি করছেন। আর তারপরই দিল্লী হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, ‘এগুলি কি প্রেসক্রিপশনের ওষুধ নয়? কীভাবে কেউ এত সংখ্যক ওষুধ মজুত করে রাখতে পারে? ওনার কাছে কি ওষুধ কেনা-বেচার লাইসেন্স আছে? নাকি ওনার লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে না!’ গতকাল তারা বলেছে, শুভ মানসিকতা নিয়েই হয়তো গম্ভীর এটা করেছিলেন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, প্রতিটি সামগ্রীর সরবরাহ যখন কম, তখন এই আচরণ কি সঙ্গত? ওনার এটা কি বোঝা উচিত ছিল না যে, এর ফলে অন্যদের কাছে সরবরাহ কমবে? নিশ্চয়ই অন্য অনেকের এতে সমস্যা হয়েছে? যেভাবে উনি এটা করেছেন, তাতে ক্ষতিই হয়েছে।