করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাড়িতেই। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলও ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আচমকা অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেল রক্তে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় তাঁকে আর বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর পক্ষে নন কেউই। তাই হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিন্তিত পরিবার থেকে দলীয় সহকর্মীরা। তাঁরাই অসুস্থতার খবর শুনে ছুটে গিয়েছেন। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
তাঁর অসুস্থতা দীর্ঘদিনের। সিওপিডি-র রোগী তিনি। সাইটোকাইন স্টর্ম নিয়েও চিন্তিত চিকিৎসকরা। মাস কয়েক আগে হাসপাতালে চিকিৎসা সেরে ফিরেছেন। তারপরই মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু তিনি কিছুতেই হাসপাতালে যেতে রাজি হননি। ফলে বাড়িতেই সবরকম ব্যবস্থা করে, হোম আইসোলেশনে রেখে শুরু হয়েছিল চিকিৎসা। স্বাভাবিকই চলছিল সব। অক্সিজেন স্যাচুরেশনও মাত্রার মধ্যেই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আচমকাই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৬তে, যার স্বাভাবিক মাত্রা ৯০। শিথিল হয়ে গিয়েছে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনা। তা দেখেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এবার হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। সেইমতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে সপ্তাহখানেক চিকিৎসার পর করোনামুক্ত হয়ে সোমবারই বাড়ি ফিরেছেন। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে, রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসন্ন। আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। তাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা সর্বাধিক। এই অবস্থায় বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে চিকিৎসা চালানো বেশ কঠিন। তার চেয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়ে চিকিৎসা করানো অনেক নিরাপদ। হাসপাতালে যেতে একেবারেই নারাজ বুদ্ধদেববাবুকে এভাবে বুঝিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, পরিস্থিতির কথা বুঝে তিনি হাসপাতালে যেতে রাজি হয়েছেন।