উনিশের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন খাস কলকাতায় অমিত শাহের রোড শোয়ের দিন বিদ্যাসাগর কলেজে বাংলা নবজাগরণের পথিকৃত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেই যে শুরু, তারপর থেকে অব্যাহত বাংলার মনীষীদের অসম্মানিত করার ধারা। এবার ফের নিশানায় বাংলার মনীষীরা। এবার রাজা রামমোহন রায় এবং ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। গোটা দেশ যখন রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী পালনে ব্যস্ত, তখনই সতীদাহ প্রথার বিলোপকারীকে হিন্দু-বিরোধী তকমা দিয়ে আক্রমণ করা হল। ছাড় পেলেন না ঋষি অরবিন্দ ঘোষও। দুই বাঙালি মনীষী নিয়ে চরম অবমাননাকর মন্তব্য করে বসলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এম নাগেশ্বর রাও। যা ঘিরে ঝড় উঠেছে বাঙালি মননে। তোলপাড় বঙ্গ সমাজ। বাঙালি মনীষীদের নিয়ে কুৎসার এই ধারাবাহিকতার শেষ কোথায়?
গত শনিবার ছিল ভারতের নবজাগরণের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী। গোটা দেশ যখন আধুনিকতার প্রাণপুরুষকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত, তখনই নাগেশ্বর রাওয়ের টুইট, ‘আমাদের পাঠ্য বইয়ে একজন ঐতিহাসিক চরিত্রকে কীভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে, তা নির্ভর করছে তিনি কতটা হিন্দুবিরোধী ছিলেন, তার ওপর। অর্থাৎ, তিনি যতটা হিন্দু বিরোধী হবেন, তাঁর সম্পর্কে ততটা বেশি শেখানো হবে। অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদীদের ততটাই দূরে সরিয়ে রাখা হবে। এই নিক্তিতেই রাজা রামমোহন রায় ও ঋষি অরবিন্দ ঘোষকে বিচার করা দরকার।’ আর এই টুইট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে, বাংলার মনীষীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার এটা কোনও চক্রান্ত কি? জাতীয় স্তরে এর আগেও এই ধরনের নানা ঘটনা ঘটেছে। তাতে নয়া সংযোজন নাগেশ্বরের এই টুইট। যা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সর্বস্তরেই।