জন্মলগ্ন থেকেই হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি তুলে আসছে বিজেপি। ক্ষমতা ধরে রাখতেও বারবারই ধর্মীয় মেরুকরণ এবং ভাগাভাগির রাজনীতি করে এসেছে তারা। যে কারণে বারবারই গেরুয়া শিবিরের দিকে আঙুল উঠেছে মুসলিম বিরোধিতার। এবার ফের প্রকাশ্যে চলে এল তাদের মুসলিম বিদ্বেষ। মাংস বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক মুসলিম ধর্মালম্বীকে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। রবিবার বিকেলে এক ব্যক্তি নিজেকে ‘গো-রক্ষক’ দাবি করে ওই মাংস ব্যবসায়ীর ওপর চড়াও হন। তাঁর নেতৃত্বে একদল মানুষ মাংস ব্যবসায়ী মহম্মদ শাকিরকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। শাকিরের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ‘গো-রক্ষক’ মনোজ ঠাকুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাল্টা মনোজ ঠাকুরের পক্ষ থেকে মহম্মদ শাকিরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে, পশুহত্যা, সংক্রমণ ছড়ানো ও লকডাউন ভাঙার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এক ডেপুটি সুপারইন্টিন্ডেন্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাকির গ্রেফতার হলেও তাঁর জেল হয়নি। কারণ মামলাগুলো জামিনযোগ্য। মাংস ব্যবসায়ী এখন বাড়িতেই আছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এখনও মনোজ ঠাকুরকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মোরাদাবাদ থানার প্রধান প্রভাকর চৌধুরী জানিয়েছেন, তাঁরা একটি ভিডিও পেয়েছেন, যেখানে এক মাংস ব্যবসায়ীকে মারা হচ্ছে। ৫-৬ জন অভিযুক্ত চিহ্নিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তল্লাশি চলছে, দ্রুত তাঁদের গ্রেফতার করা হবে দাবি প্রভাকরের। পুলিশকে লিখিত অভিযোগে শাকিরের ভাই জানিয়েছে, ৫০ কিলোগ্রাম মহিষের মাংস মোটর সাইকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় মনোজ ঠাকুর গাড়ি আটকায়। এরপর ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তারপর বচসা হয়। এরপর লাঠি নিয়ে শাকিরকে মারতে শুরু করে মনোজ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন দল।