কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন বীরভূমের সিউড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক অতনু শঙ্কর দাস। হাসিখুশি স্বভাবের এই চিকিৎসকের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সিউড়ি সদর হাসপাতাল চত্বর। শুধু চিকিৎসক অথবা নার্সরাই নন, সিউড়ির বাসিন্দারাও মর্মাহত। শোনা যায়, ডাক্তারবাবু তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে কখনই রোগী-ডাক্তারের মতো সম্পর্ক নিয়ে মেলামেশা করতেন না। একেবারেই বন্ধুসুলভ আচরণ করতেন। ছোট-বড় সকলের সঙ্গেই এত খোলা মনে মিশতেন, যে প্রত্যেকের পছন্দের মানুষ ও চিকিৎসক ছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ ও জনপ্রিয়তা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, অতনুবাবুর শরীরে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে মে মাসের ৮ তারিখে। তার পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ১৪ তারিখ দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। গতকাল, রবিবার রাত ১টা ১০ নাগাদ তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল মাত্র ৬১ বছর। তবে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও কীভাবে এমনটা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। টিকা নেওয়ার পরে যে কোভিড বিধি মেনে চলা উচিত, তা তিনি মেনে চলেছিলেন কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা দরকার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাই। এদিকে, অতনুবাবুর স্ত্রী-ও করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার মহেশতলার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। আবার, তাঁদের ছেলে এবং মেয়েও করোনা আক্রান্ত। তবে তারা বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছে।