গত শুক্রবার বারাণসীতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে অতিমারির দুর্যোগ মোকাবিলার একগুচ্ছ প্রস্তাব উঠে আসে। আর সেই আলোচনা চলাকালীন হঠাৎই কোভিডে প্রিয়জন হারানো পরিবারের কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর সেই কান্নাকেই এবার কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মোদীর চোখে জল আদতে ‘কুমিরের কান্না’। আর কুমিরেরা নিষ্পাপ হয়। পর পর দু’টি টুইটে এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন রাহুল।
গতকাল টুইটারে মোদীর বারাণসীর সেই বৈঠককে নিশানা করে কংগ্রেস নেতৃত্ব। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেহাল অর্থনীতি ও ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে কাঠগড়ায় তোলেন জয়রাম রমেশ, পি চিদাম্বরমের মতো শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে, তাঁদের পাশাপাশি রাহুলও ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। গতকাল তিনি টুইট করেন, “ভ্যাকসিন নেই, সর্বনিম্ন জিডিপি, সর্বোচ্চ সংক্রমণ… কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া কী? না, প্রধানমন্ত্রী কেঁদে ফেললেন।”
যদিও প্রধানমন্ত্রীর চোখের জলকে বিরোধীরা একদমই ভালোভাবে নেয়নি। সেই বৈঠকের পরেই আসরে নামে কংগ্রেস। শুক্রবার এই নিয়েই টুইটারে একাধিক পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। একটি টুইটে তিনি দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও অতিমারির দুর্দশার খতিয়ান তুলে ধরেন। অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর শেয়ার করা সেই চার্টে দেখানো হয়েছে, ভারতের জিডিপি আপাতত মাইনাস আটে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তুলনায় অনেক ভালো জায়গায় বাংলাদেশ (৩.৮), চীন (১.৯)। এমনকী এগিয়ে পাকিস্তানও (০.৪)।
এরপর আরেকটি টুইটে অতিমারি মোকাবিলায় মোদী সরকারের ব্যর্থতাকে জোরালো কটাক্ষ করেন রাহুল। তিনি লেখেন, “কেন্দ্রের অপদার্থতার জেরে ভারত একইসঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও করোনার সামনে দাঁড়িয়ে। এত বড় রোগ৷ অথচ কেন্দ্র বলছে, ভ্যাকসিন নেই। ওষুধ নেই৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে নিশ্চয় কোনও ‘তালি-থালি’-র কসরতের নিদান দেবেন।” একইভাবে এদিন মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়ান জয়রাম রমেশও। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে দেশের কোভিডের টিকা জরুরি, ‘কুমিরের কান্না’ নয়।