সদ্যই শেষ হয়েছে বাংলা-সহ চার রাজ্য এবং এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচন। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল পেট্রোল-ডিজেলের চোখরাঙানি, জ্বালানির দাম বাড়ানোর বহর। যা এখন একপ্রকার রুটিনে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে দিন দুয়েকের বিরতির পর শুক্রবার ফের বাড়ল পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। যার জেরে দেশজুড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্য। যার প্রভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও। অথচ, ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের।
শুক্রবার লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ১৯ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ২৯ পয়সা। এই নিয়ে শুধু চলতি মাসেই পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২টাকা ৪৯ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। মুম্বইয়ের মতো মহানগরে পেট্রোলের দাম প্রায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। কলকাতা-সহ দেশের অন্য বড় শহরগুলিতেও রেকর্ড গড়ছে জ্বালানি।
শুক্রবার মুম্বইয়ে পেট্রোল বিকোচ্ছে ৯৯ টাকা ৩২ পয়সা প্রতি লিটার দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯১ টাকা ১ পয়সা দরে। দিল্লীতে পেট্রোলের নতুন দাম হয়েছে ৯৩টাকা ৪ পয়সা। ডিজেল বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা দরে। চেন্নাইয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের নতুন দাম যথাক্রমে ৯৪ টাকা ৭১ পয়সা এবং ৮৮টাকা ৬২ পয়সা। শহর কলকাতায় নয়া রেকর্ড গড়ে পেট্রোলের দাম ৯৩ টাকা ১১ পয়সা। ডিজেলের দাম ৮৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের ওপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। যার ফলে, এই করোনা অতিমারির সময়ে দেশের আমজনতা জখন একেবারে অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে, তখন হু হু করে বাড়ছে জ্বালানির দাম। রোজ রোজ তৈরি হচ্ছে নয়া রেকর্ড।