রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কোভিড টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলছিলেন, ছেলেটি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দিয়েছে সারাক্ষণ ফিল্ডে থেকে কাজ করে বেড়ায়। আর এই করোনা আবহে ওকে তিন চারদিন আটকে রেখেছে। আমরা অন্যভাবে কাজটা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু একজনের পরিবর্ত কী আর আরেকজন হয়? এবার আদালতে সেই একই কথাই বললেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে গৃহবন্দীর নির্দেশ কোন যুক্তিতে, শুক্রবার আদালতের নির্দেশের পরই এই প্রশ্নই তোলেন তিনি।
শুক্রবার নারদ মামলায় শুনানি শুরু হলে আদালত চার নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দীর নির্দেশ দেয়। কিন্তু তা নিয়ে বিরোধিতা করেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সিঙ্ঘভি। পাল্টা বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। আদালতে তিনি বলেন, ‘গৃহবন্দী থেকেও কাজ করা যাবে বাড়ি থেকে। তাতে কোনও বাধা থাকবে না।’ তখন সিঙ্ঘভি তাঁর দাবির স্বপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এক জন মন্ত্রীর পক্ষে সব কাজ বাড়ি থেকে করা যায় না। কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে দফতরের ফাইল ছাড়বে কী করে?’ ফিরহাদ শহরে কোভিড মোকাবিলার তত্ত্বাবধানের পুরোভাগে ছিলেন বলেও আদালতকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। এর পর দুঁদে আইনজীবী এই প্রশ্নও তোলেন যে, সাধারণ অভিযুক্তদের সঙ্গে এই নেতা-মন্ত্রীদের তুলনা করা হচ্ছে কেন?