এখনও চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করেনি ক্লাব। তার আগেই বেশ কিছুটা নমনীয় হল লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট লিমিটেড। সূত্রের খবর, তারা ইস্টবেঙ্গলের কিছু শর্ত মানতে রাজি হয়েছে। ময়দানে কানাঘুষো খবর, বাঙ্গুর গোষ্ঠী নাকি ক্রিকেট, হকি ও অ্যাথলেটিক্সের স্বত্ব ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে। তবে তার আগে ইস্টবেঙ্গলকেও চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করে দিতে হবে।
হঠাৎ করে এই তিনটি খেলার স্বত্ব বাঙ্গুর গোষ্ঠী ছেড়ে দিতে কেন রাজি হলেন? যা শোনা যাচ্ছে তাতে, ফুটবলটা যাতে হাতছাড়া না হয়, সেই কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। কারণ ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেললে বিনিয়োগকারীরা প্রচার পাবে। এর পাশাপাশি তাদের ব্যবসায়িক লাভও জড়িয়ে থাকবে। উল্টোদিকে হকি প্রায় উঠেই গিয়েছে। অ্যাথলেটিক্সের ক্ষেত্রেও সে ভাবে কোনও লাভ নেই। বছরে হয়তো একবার রাজ্য মিটে অংশ নেয় ক্লাব।
তবে ক্রিকেটের সঙ্গে সিএবি-র সরাসরি যোগ রয়েছে। ক্রিকেট হাতে থাকলে সিএবি-তে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থাকছে। তবে করোনার সময়ে ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো হচ্ছে না ঠিক করে। সেই সঙ্গে বড় কিছু পেতে গেলে কিছু স্বার্থত্যাগ করতেই হয়। কিন্তু এই জট এত সহজে ছাড়ার নয়। বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কথায় একেবারেই গলছেন না ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বরং লাল-হলুদের তরফে প্রশ্ন উঠছে, ইস্টবেঙ্গল যখন আগে চুক্তির কিছু শর্ত নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল, তখন কেন বাঙ্গুর গোষ্ঠী আলোচনায় বসেনি? আর সই করার পর যে তারা সত্যিই ক্রিকেট, হকি আর অ্যাথলেটিক্সের স্বত্ব ছেড়ে দেবে, তার নিশ্চয়তা কী রয়েছে?
মাঠের বাইরে ইস্টবেঙ্গল আর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই লড়াইটা অনেকটাই আত্মসম্মান রক্ষার লড়াই হয়ে গিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়, তারা বলে দিয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আগে চুক্তিতে সই করতে হবে। বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলকে সবার আগে চুক্তিপত্রে সই করতে হবে। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মুখোমুখি না বসে, কোনও রকম সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নন।