কোভিড যুদ্ধে জনদরবারে হাজির হলেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়নী ঘোষ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েও আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রকে ভুলতে পারেননি তিনি। কলকাতা থেকে আসানসোল দক্ষিণের কালীপাহাড়ি ও ডামরা অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে ছুটে এলেন সায়নী। গোটা রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ, কার্যত লকডাউন। নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকানপাট বন্ধ। বহু মানুষ রুজি-রুটিহীন। ঠিক এই সময় সায়নী আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য খাবার, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার নিয়ে যান। শিশুদের হাতে দেন রঙিন ছাতা ও চকোলেট। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের আরোগ্য কামনাও করেন।
এদিন সামাজিক দূরত্ব মেনেই হয় সমস্তকিছু। দূরত্ববিধি মানতে চক দিয়ে গোল গোল করে দাগ কাটা হয়েছিল। ত্রাণ যাঁরা নেবেন তাঁরা সেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।কোভিডের বাড়বাড়ন্তে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন সায়নী। অভিনেত্রী জানান, ভোটে হারা জেতা বড় কথা নয়। এখানকার মানুষ তাঁকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, আপন করে নিয়েছেন,সেই টানেই তিনি দুঃসময়ে ছুটে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়ে যান তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে ৪ হাজার ৪৮৭ ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান। সায়নীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৩ হাজার ৩৯৪। অগ্নিমিত্রার ভোট ছিল ৮৭ হাজার ৮৮১। তাই ওই ৮৩ হাজার মানুষের সমর্থনকে কখনই খাটো করে দেখতে রাজি নন সায়নী। অভিনেত্রী পরাজিত হলেও রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল। সায়নীকেও আসানসোলের কোনও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল কর্মীরা। এদিন করোনা আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালেরও আরোগ্য কামনা করেন সায়নী। বলেন, “এলাকার বিধায়ক দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে সেই এলাকার মানুষের জন্য সুখকর নয়।” জানা গিয়েছে, শুক্রবারও আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে ত্রাণের কাজে ব্যস্ত থাকবেন সায়নী। সূত্রের খবর, শীঘ্রই তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পাচ্ছেন তিনি।