মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে একটি কথাও বলতে দেওয়া হল না! ভ্যাকসিন, করোনার ঔষুধ নিয়ে কিছু বলতে দেওয়া হল না, আমাদের ডেকে পুতুলের মতো বসিয়ে রেখে অপমান করা হল। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বাছাই কিছু জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি শব্দও বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তোপ দেগে বললেন, ‘সারাক্ষন বৈঠকে উনি শুধু একতরফা ভাষণ দিয়ে গেলেন, কী বললেন বুঝলাম না। কোভিড নিয়ে বৈঠকে এত ক্যাসুয়াল! সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা দাবি করেন, এই বৈঠকে আমরা পুতুলের মত বসেছিলাম, উনি শুধু ওনার পছন্দের কয়েকজন জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বললেন।
প্রধানমন্ত্রী বলছেন করোনা কমে গিয়েছে, করোনা কমে গেলে এত মৃত্যু হচ্ছে কেন? গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসছে কী করে, প্রশ্ন মমতার।
সেইসঙ্গে ফের একবার বলেন, আজ আমাদের সরকারের ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে, ভেবেছিলাম রাজ্যের জন্য টিকা চাইবো। করোনার ঔষুধ নিয়ে আলোচনা করবো। উনি কোনও কথাই বলতে দিলেন না। মমতার কটাক্ষ, এত ইনসিকিওর প্রধানমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীদের শুনতে এত কীসের ভয়!
তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, বাংলার জন্য ১০ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম ৩ কোটিও দেয়নি। তিনি আরও বলেন ২৪ লক্ষ পাওয়ার কথা, ১৩ লক্ষ ভ্যাকসিনও দিচ্ছে না। এগুলো নিয়ে আমাদের বক্তব্য ছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন। মোদীকে তৃণমূল নেত্রী দিল্লীর শাহেনশাহ বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন।
সেই সঙ্গে মমতা বলেন, সারা দেশ এখন এক অভুতপূর্ব সঙ্কটের মধ্যে যাচ্ছে। আর কেন্দ্র এখানে প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে ব্যস্ত। কথায় কথায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দিচ্ছে। বিজেপিকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশে জায়গায় জায়গায় মৃতদেহ নদীর চরে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া দিচ্ছে। ওখানে কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা গিয়ে কেন প্রশ্ন করছে না এভাবে মৃতদেহ কেন ভাসিয়ে দেওয়া হল? মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, যারা গঙ্গায় লাশ ভাসানোর জন্য দায়ী তাদের বাড়িতে সিবিআই গেছিল? ইডি গেছে? কেন্দ্রীয় বাহিনী?
