মরার উপর খাঁড়ার ঘা! একে করোনায় রক্ষে নেই দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। অথচ সেই রোগের ওষুধ কোথায়, কেন্দ্র সেই ওষুধের জোগান দিচ্ছে না। সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, টিকার দু’টি ডোজের মাঝের ব্যবধান বারবার বদলানো নিয়েও সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে হাজির ছিলেন বেশকিছু রাজ্যের জেলাশাসকেরাও। ভার্চুয়ালি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
মমতার কথায়, ‘কোথা থেকে একটা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এসেছে। ইতিমধ্যে রাজস্থান একে মহামারী ঘোষণা করেছে। আমাদের রাজ্যে চারজনের দেহে এই রোগের হদিশ মিলেছে। এগুলো নিয়ে কথা বলার দরকার ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ এ নিয়ে একটি কথাও বলতে দেওয়া হয়নি বৈঠকে। উল্লেখ্য, এদিন সকালে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, রাজ্যের ৬ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অস্তিত্ব মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হলে যে ওষুধ দেওয়া হবে তা পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলি কেন্দ্রের ভান্ডারে থাকে। কেন্দ্রের এই ভূমিকা কোভিড পরিস্থিতিতে আরও সংকট তৈরি করছে বলে মত মমতার।
সম্প্রতি কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। এর আগেও এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কেন্দ্রের বারবার সিদ্ধান্ত বদল নিয়েও সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘টিকার জোগান নেই বলে বারবার এই টিকার মাঝের ব্যবধান বাড়ানো হচ্ছে। এই পরিবর্তনের পিছনে কি কোনও বৈজ্ঞানিক মতামত আছে, নাকি এমনিই এই ব্যবধান বাড়ানো হচ্ছে। ভেবেছিলাম আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইব কিন্তু কিছুই হল না’।