আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই হাসপাতালের সুপারকে চিঠি লিখে একটি বিশেষ আর্জি জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। বললেন, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে গেলেও শোভন বাবুর ঘরে যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই চিঠিতে শোভনের আইনজীবী লিখেছেন, যতক্ষণ না শোভন নিজে অনুমতি দিচ্ছেন, ততক্ষণ রত্নাকে যেন তাঁর মক্কেলের কাছে যেতে দেওয়া না হয়। ফলে রত্না এদিন হাসপাতালে এলেও শোভনের ঘরে ঢোকেননি। তিনি যদিও বলেন, “আমি কেন ওঁর ঘরে ঢুকব? যাঁদের ঢোকার তারাই ঢুকবে।”
বর্তমানে শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। শোভনের আইনজীবীর আশঙ্কা, রত্না এবং তাঁর সঙ্গীরা তাঁর মক্কেলের ঘরে ঢুকলে অশান্তি বাধতে পারে। এমনকী, শোভনের ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও ঢুকতে না-দেওয়ার আর্জিও সুপারের কাছে জানানো হয়েছে। তবে হাসপাতাল সুপারের সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি। এই খবর শুনে রত্না বলেন, “রত্না চট্টোপাধ্যায়কে কেউ কোনও দিনইও আটকাতে পারেনি। আগামী দিনেও পারবে না। আর হাসপাতালে এ বার থেকে আমার ছেলেমেয়ে দু’জনেই ঢুকবে।”
তবে এর পরেই শোভনের বান্ধবী বৈশাখীর নাম করে তিনি বলেন, “আমিও দেখব, এর পর কী ভাবে হাসপাতালে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ঢোকেন!” উল্লেখ্য, নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন রত্না। তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায়? এরপর রাতেই অবশ্য প্রেসিডেন্সি জেলের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় বৈশাখীকে।