নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রদের বিনা অনুমতিতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে বিধানসভার সচিবালয়। এমনটাই খবর বিধানসভা সূত্রের। ওই সূত্রের দাবি, তাঁকে অন্ধকারে রেখে সিবিআই যেভাবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে, তাতে ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সকালে খানিকটা আচমকাই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের বিধায়ক বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি বা এই ধরনের কোনও আইনি পদক্ষেপ করার আগে তা বিধানসভার স্পিকার এবং সচিবালয়কে জানাতে হয়। শোভনবাবু এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভার সদস্য না হলেও, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাকি তিনজনই বিধানসভার সদস্য। সুতরাং তাঁদের গ্রেফতার করতে হলে আগে থেকে জানাতে হত স্পিকার এবং বিধানসভার সচিবালয়কে। কিন্তু রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি এই গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর বা সচিবালয়ের কারও কাছেই কোনও তথ্য ছিল না। গ্রেফতারির একদিন পর চিঠি লিখে তাঁকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ম বিরুদ্ধ।
এক সংবাদমাধ্যমকে বিমানবাবু জানিয়েছেন, ‘ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমাদের কাছে এ বিষয়ে সিবিআই কিছু জানতেও চায়নি, কোনও চিঠিও দেয়নি। গোটাটা আমাকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছিল’। সূত্রের খবর, এবার বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে সিবিআইকে পাল্টা চিঠি পাঠানো হতে পারে। প্রয়োজনে করা হতে পারে আইনি পদক্ষেপ। যদিও, প্রকাশ্যে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি স্পিকার। তিনি বলছেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানতে চাই না। আমার দায়িত্বের মধ্যে কি পড়ে বা না পড়ে দেখে আমি সিদ্ধান্ত নেব’।