চার্জশিটের শিরোনাম,’সিবিআই বনাম মুকুল রায় ও অন্যান্যরা’। অথচ বিজেপিকে নেতাকে গ্রেফতার করা হয়নি? তৃণমূলের ৩ বিধায়ক ও প্রাক্তন নেতার গ্রেফতারির পর জনমানসে প্রশ্ন ওঠে, একই অভিযোগে মুকুল ও শুভেন্দুকে কেন ছাড় দেওয়া হল? নারদকাণ্ডে কোনও অভিযুক্তকে রেয়াত করা হয়নি, তা স্পষ্ট হয়েছে সিবিআই-চার্জশিটেই। মুকুল রায়দের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে উল্লেখ রয়েছে তাতে।
সোমবার সাত সকালে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তখনই প্রশ্ন ওঠে, নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত হলেও কী কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বদন্যতা পেলেন মুকুল ও শুভেন্দু! বিজেপি কি ওয়াশিংমেশিন? এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
সিবিআই-র বিশেষ আদালতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বোঝাতে মুকুল, শুভেন্দুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন ফিরহাদদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সিবিআই চার্জশিটে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাকি অভিযুক্ত মুকুল রায়, অপরূপা পোদ্দার, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইকবাল আহমদের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, নারদকাণ্ডের সময় মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু করতে চেয়ে ২০১৯ সালে লোকসভার স্পিকারের কাছে অনুমোদন চায় সিবিআই। তাতে রয়েছে সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও অপরূপা পোদ্দারের নামও। তবে এখনও পর্যন্ত অনুমোদন দেননি স্পিকার ওম বিড়লা।