বাড়ল তাপমাত্রা। একদিকে সাইক্লোনের জেরে পশ্চিম উপকূলজুড়ে প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। অন্যদিকে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল বাংলা। মঙ্গলবার রাতে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে সাময়িক রেহাই মিলেছিল বটে। কিন্তু বুধবার সকাল হতে না হতেই ফের চেনা ছবি। ঊর্ধমুখী পারদ। বাইরে বয়ে চলেছে শুকনো গরম হাওয়া। সবমিলিয়ে ঘেমেনেয়ে একশা কলকাতাবাসী।
আলিপুর হাওয়া অফিসের যুক্তি, কেরলে বর্ষা ঢোকার সঙ্গে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্পর্ক নেই। অস্বস্তি না কমারই কথা। কারণ আপাতত ঝড়-বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ। অন্যদিকে গতকাল, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ছুঁইছুঁই। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এরই মধ্যে মঙ্গলবারের বিক্ষিপ্ত বর্ষণ কিছুটা হলেও আশার আলো জুগিয়েছিল। এদিন কলকাতা সহ হুগলী, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু অংশে হাল্কা বৃষ্টি হয়৷
এদিন মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বছরে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে বর্ষা প্রবেশ করবে। সাধারণত, কেরলে ১লা জুন বর্ষা পা রাখে। এ বছর ৩১শে মে থেকেই দক্ষিণের রাজ্যটিতে খাতায়-কলমে বর্ষার মরসুম শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এতে বাংলার ভাগ্য খুব একটা বদলাবে না বলেই আলিপুর সূত্রে খবর। আবহাওয়া দফতরের দাবি, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কেরলে আগে এলেও বঙ্গে সময়ের আগে প্রবেশ নাও করতে পারে। আর এটা সত্যি হলে আরও কিছুদিন ভ্যাপসা গরমে দিন কাটতে চলেছে। সাধারণত, ৮ই জুন থেকে বাংলায় বর্ষার মরশুম শুরু হয়। যদিও এর মধ্যে বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরখা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জেরেই দানা বাঁধতে পারে সাইক্লোন। ২৩শে থেকে ২৫শে মে-র মধ্যে ওই ঘূর্ণিঝড়ের বাংলায় প্রবেশের ইঙ্গিত রয়েছে।