দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এখন মারণ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে টিকাকরণের দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। যত বেশি টিকা, তত বেশি করোনার বিরুদ্ধে বর্ম। আর এভাবেই তৈরি হবে হার্ড ইমিউনিটি। করোনা মোকাবিলায় এই হার্ড ইমিউনিটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে গোড়া থেকেই ভ্যাকসিনের বন্টন, রাজ্যভিত্তিক দরদামে বৈষম্য ইত্যাদি নানা ইস্যুতে ঘনিয়েছে বিতর্ক। তবু কেন্দ্র ভ্যাকসিন নিতে নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোউইন অ্যাপ ও পোর্টাল চালু করে। কিন্তু দেশের কতভাগ নাগরিক আদতে কোউইনের হালচাল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? টিকাকরণের পদ্ধতি বিষয়ে তাঁদের ধারণা কতটা পরিষ্কার? এসবের উত্তর পেতেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সমীক্ষা চালায়।
বিহার, গুজরাত, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মোট ২ হাজার ২৪৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে চারটি করে অপশন সমেত মোট দু’টি প্রশ্ন রাখা হয়। প্রথম প্রশ্ন, যদি টিকা নিতে চান, তাহলে তার উপায় কী? এবং দ্বিতীয়টি হল, কোউইন কী? প্রশ্ন ও উত্তরের তালিকা সামনে রাখার পর আসতে থাকে রকমারি জবাব। কিন্তু তার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ নাগরিক সাফ জানান, তাঁরা কোউইনের নাড়িনক্ষত্র কিছুই জানেন না। ৩০ শতাংশের মতে, সরকারি কর্তাব্যক্তিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে টিকা দিয়ে যাবেন। আর ১৩ শতাংশ মনে করেন, স্থানীয় নেতার দ্বারস্থ হলেই টিকা মিলবে।