যোগী সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়ে যেতে পারে।এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর প্রদেশের এক বিজেপি বিধায়ক।বিধায়কের মন্তব্যের সেই ভিডিও ফুটেজ ভাইরালও হয়ে যায়।স্বভাবতই দলীয় বিধায়কের এই মন্তব্য অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
২০১৭ সালে সীতাপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার নির্বাচিত হন রাকেশ রাঠোর। সম্প্রতি সীতাপুরের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকেশ জানান,‘সরকারের বিরুদ্ধে আমি তো কিছু বলতে পারব না। কারণ, আমি সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি। যদি কিছু বলি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়ে যেতে পারে।’
সম্প্রতি সীতাপুরে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটটি কেন চালু করা গেল না, তা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপি বিধায়ককে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধাযককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি যদি বেশি বলতে যান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হতে পারে। ভিডিওতে এই কথোপকথনের মধ্যে ওই বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা যায়,‘আপনার কী কিছু মনে হয়, বিধায়করাও কিছু বলতে পারেন?’ একইসঙ্গে সীতাপুরের বিধায়কের বক্তব্য, সরকার যা বলে দেয়, সেই কথাই বিধায়করা বলতে পারেন। একজন বিধায়কের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য ইতিমধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
এর আগেও এই একই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল এই বিজেপি বিধায়ককে। গত বছর লকডাউনের সময়ে ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি বিধায়ককে। তাঁর কথায়,‘এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেন মনে হচ্ছে রাম রাজ্য তৈরি হয়ে গিয়েছে।’ বিধায়কের সেই বক্তব্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিল বিজেপি। উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং এই ধরনের মন্তব্যকে ভালোভাবে নেননি। তিনি জানান, বিধায়কদের মনে রাখতে হবে, তাঁরাও সরকারের একটি অঙ্গ। তাঁদের সমস্যা তৈরি করার থেকে সমস্যা সমাধানের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সেই কাজে সাহায্য করা প্রয়োজন।