এবার ড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণকরল রাজ্য সরকার। চালু হল অক্সিজেন অন হুইল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে যদি সময় লাগে, তখন করোনা আক্রান্ত রোগীকে যাতে অক্সিজেন দেওয়া যায়, তার জন্য চালু হল এই পরিষেবা।
প্রসঙ্গত, সোমবার নবান্ন সভাঘরে এক অনুষ্ঠান থেকে পাঁচটি হাসপাতালে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নীলরতন সরকার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর হাসপতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল এবং চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে এই অক্সিজেন অন হুইল বাস রাখা থাকবে। ২৪ ঘণ্টা দিবারাত্রি পরিষেবা পাবেন রোগীরা। এছাড়াও এই পাঁচটি হাসপাতালে অক্সিজেন যুক্ত ১০টি করে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলিতে অক্সিজেনের কোনও সংকট না থাকলেও স্বাস্থ্যদপ্তরের নজরে এসেছে, হাসপাতালে আসার পর ভরতি হওয়ার আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময়ে বহু রোগীরই অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। সেই ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন অন হুইল বাসে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মানুষের অক্সিজেনের দাবি মেটাতে আসরে নেমেছিলেন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা। কেউ উদ্যোগ নেন অক্সিজেন পার্লার খোলার, আবার কেউ হাসপাতালের শয্যার বিকল্প পথ সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা নিচ্ছেন। গত রবিবারই দক্ষিণ কলকাতার বড়িশার একটি ক্লাবকে অক্সিজেন পার্লারের চেহারা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কাজটি হয়েছে। ভবানীপুরে একটি সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা আছে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। কিছুদিন আগেই অক্সিজেন পার্লার খুলেছেন আরেক মন্ত্রী সুজিত বসুও। এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হল অক্সিজেন অন হুইল বাস। রাজ্যে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের আর অভাব হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।