শুভেন্দুও টাকা নিয়েছিল, ওকে কেন গ্রেফতার করল না সিবিআই? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। এবার এই একই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও।
সোমবার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টাপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর সারাদিন তমলুক ও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তাঁদেরও বক্তব্য, অপরাধ এক হলে আইন প্রত্যেকের ক্ষেত্রে পৃথক হবে কেন? যে ধারায় রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই একই ধারায় শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেফতার করেনি সিবিআই? তাঁরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি নারদায় সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু?
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নারদকাণ্ড রাজ্যে যে কজন মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন শুভেন্দুও। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা—কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, নারদায় সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই তাহলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু? ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি কাঁথি ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই অভিযোগ নিয়ে বামেরাও ওই এলাকায় পথে নামে। তবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে জমায়েত করার কথা থাকলেও তা শেষ মুহূর্তে বাতিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। এছাড়াও শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে তমলুকের বিভিন্ন এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তাঁরা।