ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অক্সিজেনের অভাবে প্রতি মুহূর্তেই দেশের কোনও না কোনও প্রান্তে মৃত্যু হচ্ছে করোনা রোগীর। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনেরও দেখা নেই। চারদিকে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে হাহাকার। কিন্তু এত কিছুর পরেও সচেতনতা আসছে না। বিজ্ঞানের বদলে গুরুত্ব পাচ্ছে কুসংস্কার। এবার যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীর ঘটনা আরও একবার সে কথাই প্রমাণ করে দিল। করোনা ঠেকাতে যখন বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে, সরকারের তরফে পই পই করে বলা হচ্ছে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোতে, দূরত্ব বিধি মেনে চলতে, তখনই দল বেঁধে পুজো দিতে গেলেন বারাণসীর কুশীনগর গ্রামের মহিলারা। যে সে পুজো নয়, তাঁদের আরাধ্য একেবারে ‘করোনা মাঈ’।
হ্যাঁ, যোগীরাজ্যের বারাণসীতে ভাইরাসকে দেবতার আসনে পুজো দেওয়ার নাম করে চলল যথেচ্ছ জমায়েত। লাইন দিয়ে পুজো দিলেন গ্রামের মহিলারা। দূরত্ববিধি মানা তো দূর, মাস্কটুকুও পড়েননি অনেকেই। একসঙ্গে এক জায়গায় বসে অনেকে মিলে পুজোর আয়োজন করেন তাঁরা। ‘করোনা মাঈ’-এর পুজোয় গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেল করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। কুশীনগর গ্রামের মহিলাদের অবশ্য দৃঢ় বিশ্বাস, গত ২১ দিন ধরে চলতে থাকা ‘করোনা মাঈ’-এর পুজো ঠিকঠাক ভাবে সম্পন্ন করতে পারলেই দেশ থেকে মুছে যাবে অতিমারী। মহিলারা এও জানিয়েছেন, গ্রামের পুরোহিতদের পরামর্শ মেনেই এই পুজো করছেন তাঁরা। বলা বাহুল্য, সেই পুরোহিতদের দাবিও তেমনটাই।