করোনার সংক্রমণের তীব্রতায় ত্রস্ত এলাকাবাসী। কিন্তু তারই মধ্যে কেউ কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নেবার চেষ্টা করছেন অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের বাজারে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ফল, সবজি আর মুদিখানায় জিনিসে বেশি দাম নেবার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হয়েছে শাসকদল। মঙ্গলবার দিনভর এলাকায় মাইক প্রচার চালাল তৃণমূল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার লকডাউনের তৃতীয় দিন। এরই মধ্যে ভাতারের মুরাতিপুর বাজারে লকডাউনের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন অত্যাবশকীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের।
এলাকায় অভিযোগ, মুদিখানা, শাক-সব্জি ও ফলের ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছেন। স্থানীয় মানুষজন বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। মঙ্গলবার অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে মুরাতিপুর বাজারে মাইকে করে প্রচার করলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল কর্মী আমির শেখ বলেন, “আজ আমরা মাইকিং করে সবাইকে ন্যায্য দাম নেবার অনুরোধ করেছি। আগামিদিনে মুরাতিপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা যদি জিনিসের দাম বেশি নেন, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা রহিম শেখ বলেন, “আশপাশে যে সমস্ত বাজার রয়েছে, যেমন বলগোনা, আলিনগর, ভাতার সেখানে জিনিসপত্রের কোনও মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। অথচ মুরাতিপুর বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি নিচ্ছে। তাই আমরা বিষয়টি তৃণমূলকে জানাই। দলের নেতা-কর্মীরা আজ মাইকিং করে প্রচার করছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।” ওই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী লালন শেখ অবশ্য জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে তাঁদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরো বাজারে প্রভাব পড়ছে তার।