এবার শারীরিক অসুবিধার কারণ দেখিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে রাখার আর্জি জানাল তাঁর পরিবার। সোমবার সুব্রতর পরিবারের সদস্যরা সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানান, বর্ষীয়ান এই নেতাকে জেলে নয়, হাসপাতালে রাখা হোক। কারণ তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। মন্ত্রীর পরিবারের ওই আবেদন নিয়ে অবশ্য কোনও উচ্যবাচ্য করেনি সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁরা শুধু জানিয়েছে, বর্ষীয়ান এই নেতার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার নারদা স্টিং অপারেশন কাণ্ডে সুব্রত-সহ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। দিনভর তাঁদেরকে সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীরা ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় কোর্ট অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করে। পরে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে দেয়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তদের বুধবার পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই মতো ফিরহাদ, সুব্রতদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া কাজ শুরু করেছে সিবিআই ও পুলিশের আধিকারিকরা। তারপরই সুব্রতর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা পরিবারের লোকেরা। তাঁরা সিবিআই আধিকারিকদের কাছে আর্জি জানায়, সুব্রতর বয়স হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক ভাবেই সোমবার তাঁকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই আপাতত দু’দিন সুব্রতকে হাসপাতালে নজরদারিতে রাখা হোক।
তবে সুব্রত পরিবারের আর্জি নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়নি সিবিআই আধিকারিকদের। তাঁরা শুধু জানিয়েছে, শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সবাইয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সে ক্ষেত্রে কোথায় তা করা হবে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের যে হাসপাতাল রয়েছে সেখানেই নেতা-মন্ত্রীদের যাবতীয় চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখা হবে। অন্য দিকে, প্রেসিডেন্সি জেলে আনার আগে ধৃত নেতা-মন্ত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করবেন বিশেষ মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। তার পরই তাঁদের জেল হেফাজতে রাখা হবে।