আজ সকাল থেকেই একাধিক তৃণমূল নেতার আক্রমণের শিকার হয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। নারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে ফিরহাদ-মদনদের গ্রেফতারের পেছনে রয়েছে রাজ্যপালের কারসাজি। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। তারপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তাঁকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করলেন কল্যাণ।
তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ যে রায় দিয়েছেন, তা সহ্য করতে পারছেন না রাজ্যপাল। মোদী-শাহকে উনি কথা দিয়েছিলেন, বিজেপি যেকোনও ভাবে এরাজ্য ক্ষমতায় আনবেন। এখন সেই কাজেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রাজ্যপাল বেআইনি ভাবে এসব কাজ করছেন। ২০১৬ সালের কেস, এখন কেন উঠে আসছে। সব কথা আদালতে তুলব। এই রাজ্যপাল ছিটগ্রস্থ, রক্তচোষা, পাগল কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এক মিনিটও রাজ্যপালের পদে থাকা উচিত নয় ওঁর।
ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা এই নিয়ে আদালতে যাব। দেশের শীর্ষ আদালতের রায় আছে, কোভিড পরিস্থিতিতে কাউকে একরকম অপ্রয়োজনীয় ভাবে গ্রেফতার করতে পারে না সিবিআই। তার পরেও তা করা হয়েছে। এরপরই তৃণমূল সাংসদ বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যপাল ওই চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার সম্মতি দিয়েছেন। উনি যা করেছেন তা প্রতিহিংসা মূলক। মিনিস্ট্রি অব কাউন্সিলের সুপারিশ ছাড়া এই কাজ রাজ্যপাল করতে পারেন না।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। রাজ্যপাল তা আটকে রাখেন এই সময়টার জন্য। এমনই অভিযোগ কল্যাণের। তিনি বলেন, রাজ্যপাল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়েই এই কাজ করছেন। রাজ্যপাল এখন চারদিকে বিজেপির পতাকা নিয়ে বের হচ্ছেন। কেন মুকুল রায় গ্রেফতার হল না? শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হল না? তৃণমূলের নেতাদের কীভাবে জেলে ঢোকাতে হয় তার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উনি। এখন চেষ্টা করছেন যাতে ২০২৪ সালে রাজস্থান থেকে লোকসভায় টিকিট পাওয়া যায়।