বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল সরকার, তখন সোমবার সাতসকালেই নারদ মামলায় পরপর গ্রেফতারি। এদিন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর এই গোটা ঘটনাকেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ হিসেবেই বর্ণনা করছে তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন, মুকুল রায় কোথায়? শুভেন্দু অধিকারী কোথায়? তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য কি শুভেন্দু ও মুকুলকে ছাড় দেওয়া হয়েছে?
এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে কুৎসিত পরাজয়ের পর মরিয়া হয়ে এরকম আচরণ করছে বিজেপি।’ তাঁর প্রশ্ন, মুকুল ও শুভেন্দু কোথায় গেলেন? তাঁদের নাম তো এফআইআরে আছে। শঙ্কুদেব পন্ডা তো এজেন্ট হিসেবে কাজ করবেনও বলেছিলেন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি কেন?
কুণালের বক্তব্য, আপাতত করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করে করোনা মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা ধাক্কা খাবে। একই সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ কাজ করছে বিজেপি। সেজন্যই ফিরহাদদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু এবং মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে?